৭ দিনে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিলেন অনুব্রত, দাবি ED-র গোয়েন্দাদের -BTVNews24


গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। তারই মধ্যে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির সম্পত্তি নিয়ে চাঞ্চল্য দাবি করলেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের খবর, অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের নামে ১২১টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করতে কেনা হয়েছিল এই সম্পত্তি। বাজার দরের থেকে কম দামে লেনদেন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিক্রির নথিতে।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ৭ দিনে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় নগদে কেনা হয়েছিল প্রচুর জমি। ইডির প্রশ্ন, কোথা থেকে এই টাকা পেলেন অনুব্রত? কেন বিপুল অংকের লেনদেন নগদে করলেন তিনি?

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অনুব্রত, তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছে। অনুব্রতর নামে ২৪টি, মেয়ে সুকন্যার নামে ২৬টি, স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ৬টি, অনুব্রতর আত্মীয় শিবানী ঘোষের নামে ১২টি, কমলকান্তি ঘোষের নামে ৫টি, রাজা হোষের নামে ৪টি সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। এছাড়া অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে ৩২টি, তাঁ স্ত্রী ও কন্যার নামেও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বাজারদর থেকে কম দাম দেখিয়ে অনুব্রত জমি কিনতেন। তার পর তা বিক্রি করতেন বাজারদরের থেকে বেশি দামে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কখনও ভোলে ব্যোম রাইস মিলের নামে, কখনও স্ত্রী – কন্যার নামে এভাবে জমি কিনেছেন তিনি। ২০১৬ সালে অনুব্রত নিজের নামে দেড় কোটি টাকার জমি কিনেছিলেন।

শুধু তাই নয়, অনুব্রত ও তাঁর কন্যার একাধিক লটারি জয়ের ব্যাপারেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। কী ভাবে তিনি এতবার লটারি জিতলেন তা জানতে চান গোয়েন্দারা।

বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গেলে তাঁকে ঘিরে চোর চোর স্লোগান ওঠে। ফিরে বেলা ১২টা ৩০ মিনিট থেকে তাঁকে জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা। অনুব্রতকে একটি প্রশ্ন পত্র দিয়ে তার উত্তর লিখতে বলা হয়। অনুব্রত বলেন, তিনি বাংলা লিখতে জানেন না। শুধু সই করতে পারেন মাত্র।



Source link

Leave a Comment