‘সবকিছুর একটা সীমা প্রয়োজন’, রাত ২টোয় পাপারাৎজিদের ক্যামেরা দেখে কটাক্ষের পর সরব সেফ আলি খান – BTVNews24



নয়াদিল্লি: সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan) কটাক্ষের শিকার পাপারাৎজিরা (paparazzi)। সম্প্রতি একটি পার্টি থেকে বেরিয়ে অপেক্ষায় থাকা পাপারাৎজিদের উদ্দেশে মন্তব্য ছুঁড়ে দেন ছোটে নবাব। সেই থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঠিক কী ঘটেছিল?

সেফের মন্তব্যে বিতর্ক

গত বৃহস্পতিবার রাত্রে, হঠাৎই পাপারাৎজিদের অজস্র ক্যামেরার সম্মুখীন হন সেফ আলি খান ও করিনা কপূর (Kareena Kapoor Khan), যাতে খানিক বিরক্তই হন অভিনেতা। মালাইকা অরোরার মায়ের জন্মদিনের পার্টি থেকে অনেক রাতে বাড়ি ফিরতেই দম্পতি ক্যামেরাবন্দি হন।

পাপারাৎজিদের ক্যামেরা দেখে বেশ বিরক্তই হন সেফ। ছবি তুলতে তুলতে তাঁদের বলতে শোনা যায়, ‘স্যার স্যার, দাঁড়ান না!’ সেফ তার উত্তরে বলে ওঠেন, ‘এক কাজ করুন, আমাদের বেডরুমেই চলে আসুন।’ তাঁর কথায় স্বাভাবিকভাবেই খানিক অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন কয়েকজন ফটোগ্রাফার। বলে ওঠেন, ‘না না’। 

এরপরই মিডিয়ায় খবর রটে যায় সেফ আলি খান নাকি তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের বরখাস্ত করছেন এবং আইনি পদক্ষেপও নিচ্ছেন। তবে অভিনেতার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কাউকে বরখাস্তও করা হয়নি। সেই সঙ্গে ২ মার্চ রাত ২টোর সময়ে ঠিক কী ঘটেছিল সেই ব্যাপারেও জানিয়েছেন তিনি। 

সেফ আলি খানের কথায়, ‘বিল্ডিং সিকিউরিটি গার্ডকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না, এটা তাঁদের দোষ নয় এবং কেউ পাপারাৎজিদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না কারণ আমরা এমন কোনও কাজ করতে চাই না। তবে, আসল ব্যাপারটা হল তাঁরা গেট দিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির ভিতরে ঢুকে পড়ে, নিরাপত্তারক্ষীকে পাশ কাটিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরে আক্রমণ করে এবং সেই সময়ে আমাদের ওপর ২০টি ক্যামেরা এবং লাইট জ্বালিয়ে ছবি তুলছিল যেন এটা করা তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। এটি অত্যন্ত অন্যায় আচরণ এবং প্রত্যেকেরই প্রয়োজন সীমার মধ্যে থাকা।’

তিনি তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘আমরা সবসময়ে পাপারাৎজিদের সঙ্গে সহযোগিতা করি এবং বুঝি কিন্তু সেটা বাড়ির বাইরে, গেটের বাইরে, নয়তো কোথায় সেই সীমারেখাটা টানতে হবে? সেই কারণে আমি বেডরুমের মন্তব্যটা করেছিলাম কারণ তাঁরা ততক্ষণে একটা সীমা অতিক্রম করে ফেলেছিল, তো গোটা ব্যাপারটা সম্পূর্ণ জঘন্য করে তোলার আগে আর কত সীমা অতিক্রম করবে?’

আরও পড়ুন: WPL 23: তেরি আঁখে ভুলভুলাইয়া… ডব্লিউপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতালেন কিয়ারা

সবশেষে অভিনেতা বলেন, ‘বাচ্চারা যখন কোনও এক্সট্রা কারিকুলার ক্লাস বা যে কোনও ক্লাস করছে তখন তাদের ছবি তোলা, এই সবের তো কোনও প্রয়োজন নেই, স্কুলের ভিতরে তো পাপারাৎজিরা ঢুকতে পারেন না, সেখানেই সীমারেখাটা টানা প্রয়োজন। আমরা শুধু এইটুকুই বলছি এবং বাকি গোলমাল এবং কথাবার্তা হচ্ছে কারণ কেউ জানে না সত্যিটা কী এবং সবাই কিছু না কিছু বিক্রি করতে চায়, কিন্তু এটাই সত্যি। আমার এটুকুই বলার আছে, ধন্যবাদ।’



Source link

Leave a Comment