ভয় পেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন যুবক, বিক্রমগড়ে আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া তথ্য -BTVNews24


দোলের দিন বিক্রমগড়ে লিভ ইন পার্টনারকে ছুরিকাঘাত করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক যুবক। সেই ঘটনায় নয়া তথ্য পেল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, ওই যুবক লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে বচসার জেরে রাগে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, লিভ ইন পার্টনারকে ছুরিকাঘাত করার পরেই ওই যুবক ভেবেছিলেন তিনি হয়তো মারা গিয়েছেন। সেই ভয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ওই যুবক লিটন দাস। উল্লেখ্য, ওই যুবতীর নাম প্রীতি সরদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্রমগড়ের একটি বাড়িতে ওই যুবতীর সঙ্গে ঘর ভাড়া করে থাকছিলেন লিটন। তিনি পেশায় অ্যাপ ক্যাবের চালক। লিটন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি এলাকার বাসিন্দা। ওই যুবতীর সঙ্গে তিনি গত চার বছর ধরে লিভ ইনে থাকছিলেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর আগে বিয়ে হয়েছিল। ১১ বছর আগে তাঁর ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর লিটনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই যুবতী। তারপরে তাঁরা লিভ ইনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল সকালে ওই যুবতীকে বাড়ির দরজার সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তারাই পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে যুবতীকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে তা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ঝুলন্ত অবস্থায় লিটনকে দেখতে পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে লিটনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ওই যুবতী পুলিশকে জানিয়েছেন, এই ঘটনার আগে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তারপরে লিটন তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। পরে তাঁকে ঘর থেকে বাইরে বের করে দেয়। সোমবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলিধর শর্মা বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে আমরা খবর পাই। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেখতে পায় একটি ঘরের ভিতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে লিটনের দেহ। বাইরে থেকে প্রীতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দুজনকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে লিটনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রীতিকে এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে মদ্যপ অবস্থায় লিটন প্রীতিকে ছুরিকাঘাত করে। প্রীতি অজ্ঞান হয়ে পড়লে লিটন ভেবেছিল তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সম্ভবত, সেই অপরাধবোধে ভয় পেয়ে আত্মঘাতী হন লিটন।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup



Source link

Leave a Comment