কাকভোরে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে হানা পুলিশের, কারণ কী? -BTVNews24


শনিবার ভোরে আচমকাই কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে হানা দিল কলকাতা পুলিশের একটি দল। ১২ জন পুলিশকর্মীর একটি দল এই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কৌস্তভ বাগচীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে কৌস্তভের বাবা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, ‘সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন কৌস্তভ। সে কারণেই এভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। পুলিশ কোনও আগাম নোটিশ না দিয়েই অভিযান চালিয়েছে। (আরও পড়ুন: ১০ মার্চের বনধের আগে পরপর কর্মসূচি ডিএ আন্দোলনকারীদের, সরকারের ওপর বাড়ছে চাপ)

জানা গিয়েছে, আজ ভোররাত ৩ টে নাগাদ হঠাৎ কৌস্তভের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। আইনজীবীকে গ্রেফতার করার কথাও বলা হয়। নিজে আইনজীবী হওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখতে চান কৌস্তভ। এরপরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এককালে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসিন্দা কৌস্তভ। কলকাতার বটতলা থানার ১২ জন পুলিশের একটি দল তাঁর সেই বাড়িতে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে কৌস্তভের বাবা কুশল বাগচী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলে কোনও সন্ত্রাসবাদী নয় যে তাঁর বাড়িতে রাত ৩ টের সময় পুলিশ পাঠাতে হবে। সম্পূর্ণভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যেরই প্রতিবাদ করেছিলেন কৌস্তভ। তারপরই এভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোনও নোটিস, কোনও ওয়ারান্ট ছাড়া এভাবে কারও বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালাতে পারে কি না আমার জানা নেই।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কৌস্তভের এক ফেসবুক পোস্টে জল্পনা ছড়িয়েছিল যে তিনি হয়ত কংগ্রেস ছাড়তে পারেন। এর আগে গত বছরের গোড়ার দিকে দিল্লি নেতাদের সামানে রাজ্য রাজনীতিতে প্রদেশ কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। আর কয়েকদিন আগে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সম্মানের সঙ্গে দল করাটা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। আমার পক্ষে স্তাবকতা সম্ভব নয়, খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।’ যদিও পরে তিনি জানান, তিনি কোনওভাবেই কংগ্রেস ছাড়ছেন না। সম্প্রতি এআইসিসি-র তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬৮জন নির্বাচিত সদস্য ও ২০ জনকে কোঅপ্ট করা হয়েছে। সেই তালিকায় নাম নেই কৌস্তবের। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, তাতেই ক্ষুব্ধ হন কৌস্তভ। তবে কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘মান অভিমান, সব দলের ভেতরে।’



Source link

Leave a Comment